পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৫

জেনে নিন মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কতটুকু উপকারী

মাংস খেতে অনেকেই বেশ পছন্দ করেন। কেননা এটি সুস্বাদু একটি খাবার। কেউ গরুর মাংস খেতে পছন্দ করেন, কেউ খাসির মাংস আবার কেউবা খেতে পছন্দ করেন মুরগীর মাংস।কিন্তু অনেকেই বলে থাকেন যে মাংস খেলে হার্টের অসুখ, স্থূলতা বৃদ্ধি, ক্যান্সার এমনকি কোলেস্টরেল বহুগুণে বেড়ে যেতে পারে। আসুন জেনে নিই মাংস খাওয়া শরীরের জন্য আসলেই কতটুকু উপকারী।

১. ওজন বৃদ্ধি করে :

এই বিষয়ে বলতে গেলে ২ টি কথা সত্যি। যেমন ধরুন
ক) মাংস খেলে সত্যিই শরীরের ওজন অনেক বেশি বেড়ে যায় কেননা এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি বিদ্যমান। তাই প্রচুর পমিাণে মাংস খেলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার শরীরেও ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যাবে ফলে আপনি মোটা হয়ে যাবেন।
খ) আবার অন্যক্ষেত্রে দেখা যায় মাংস খেলে শরীরের গঠন ঠিক থাকে। শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে, পেশী গঠনে সাহায্য করে।

ফলাফল :

ফলে দেখা যাচ্ছে যে বেশি পরিমাণে মাংস খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক পাশাপাশি স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ম কওে মাংস খেলে শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান পূরণ হয়।

২. কোলেস্টরেলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় :

মাংসে ফ্যাট আছে এটা সত্যি যা দেহের চর্বি কিছুটা বাড়িয়ে দেয়। ফলে কোলেস্টরেল বেড়ে যায়। কিন্তু চর্বি ছাড়া মাংস খেলে এই ফ্যাটের পরিমাণ অনেক কমে যায়। তবে গবেষণায় দেখা গেছে যে উদ্ভিজ ফ্যাটের চেয়ে প্রাণিজ ফ্যাট আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী।

ফলাফল :

সুতরাং প্রতিদিন চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক তবে চর্বি ছাড়া মাংস নিয়ম করে মাঝে মাঝে খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী।

৩. মাংস শরীরের জন্য অস্বাস্থ্যকর :

আপনি যদি ভেবে থাকেন যে মাংসে কোনো ধরনের পুষ্টিকর উপাদান নেই শুধুমাত্র ফ্যাট এবং কোলেস্টরেলই আছে তাহলে আপনার ধারণা ভুল। মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন বি১২, আয়রন এবং জিঙ্ক রয়েছে।

ফলাফল :

মাংস খাওয়া মোটেই অস্বাস্থ্যকর নয় কেননা এটি দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, পেশী গঠনে সহায়তা করে। তবে বেশি পরিমাণে খাওয়া অবশ্যই শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।

৪. ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি :

কিছু গবেষকরা বলেন যে মাংস খাওয়ার ফলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। কিন্তু এই বিষয়টি পুরোপুরি সঠিক না যদি না ব্যায়াম এবং সীমিত খাওয়ার অভ্যাসে শরীর ফিট হয়ে থাকে।

ফলাফল :

অতিরিক্ত মাংস খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় কিন্তু উপযুক্ত শারীরিক ব্যায়াম এবং নিয়ন্ত্রিত খাওয়া দাওয়া ক্যান্সার হওয়া থেকে শরীরকে বাঁচিয়ে থাকে।

৫. বাতের ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে :

বাতের ব্যথা মূলত বিভিন্ন হাড়ের যুক্ত স্থানে হয়ে থাকে। যদিও অতিরিক্ত চর্বি এবং কোলেস্টরেল যুক্ত মাংস খেলে এই ধরনের বাতের ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তারপরও শারীরিক ব্যায়াম এবং বেশি পরিমাণে পানি খেলে এই ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

ফলাফল :

চর্বিযুক্ত মাংস খেলে বাতের ব্যথা হতে পারে তবে চর্বি ছাড়া মাংস খেলে বা ব্যায়াম করলে এবং বেশি করে পানি খেলে এই সমস্যার সাধানও সম্ভব।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন